Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Geographical and socio-economic conditions

নীলফামারী জেলা

                                                                                                                                                                     
সাক্ষরতার হার
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
আয়তন
সরকার
নীলফামারী জেলা
জেলা

চিনি মসজিদ, ধর্মপাল গড়, তিস্তা খাল, নীলফামারী জেলা স্টেডিয়াম, নীলফামারী মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ

বাংলাদেশে নীলফামারী জেলার অবস্থান

বাংলাদেশে নীলফামারী জেলার অবস্থান

স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৭′ উত্তর ৮৮°৫৭′ পূর্ব উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
 দেশ  বাংলাদেশ
 বিভাগ  রংপুর বিভাগ
 মন্ত্রী পরিষদ  ৪
 • জেলা প্রশাসক  মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান
 • মোট  ১,৬৪৩.৪ বর্গকিমি (৬৩৪.৫ বর্গমাইল)
 • মোট  ১৯,০৭,৪৯৭
 • জনঘনত্ব  ১,২০০/বর্গকিমি (৩,০০০/বর্গমাইল)
 • মোট  ৬৯.৬৯%
 সময় অঞ্চল  বিএসটি (ইউটিসি+৬)
 প্রশাসনিক
 বিভাগের কোড
 ৫৫ ৭৩
 ওয়েবসাইট  দাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

নীলফামারী জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি জেলা (দ্বিতীয় স্তরের প্রশাসনিক ইউনিট)। এটি রংপুর বিভাগের (বাংলাদেশের আটটি বিভাগের একটি যা ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারিতে  সপ্তম বিভাগ হিসাবে গঠিত হয়) আটটি জেলার একটি অন্যতম সীমান্তঘেষা জেলা। এ জেলার সদর বা রাজধানীর নামও নীলফামারী। নীলফামারী জেলার উত্তর সীমান্তে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলা এবং অন্য দিকে লালমনিরহাট জেলা, রংপুর জেলা, দিনাজপুর জেলাপঞ্চগড় জেলা অবস্থিত।

নীলফামারী জেলাকে নীলের দেশ বলা হয়। এই জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ভূ-সংস্থান বেশ সমৃদ্ধ যা অন্যান্য জেলা থেকে এই জেলাকে কিছুটা হলেও আলাদা করেছে। জেলার উত্তর দিক উচু ও খরা পিরিত অঞ্চল, পূর্ব দিক তিস্তার বালুকাময় এলাকা, এই উচু ও বালুময় ভূমি ধীরে ধীরে দক্ষিণপশ্চিম দিকে উর্বর কৃষি জমিতে পরিণত হয়েছে। নীলফামারী অতীত ইতিহাসের অনেক সাক্ষী বহন করে। এ জেলায় সত্যপীরের গান, হাঁস খেলা, মাছ খেলাসহ অনেক উৎসব ও মেলার আয়োজন হয়।

নীলফামারী একটি কৃষি প্রধান জেলা। এ জেলার ৬৮.৫% মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানকার প্রধান শিল্প বয়ন, চাল, বাশবেত প্রভৃতি। দারোয়ানী বস্ত্র কল এ জেলার সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। এছাড়া উত্তরা ইপিজেড ও সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরীর মত শিল্প পার্ক।

নামকরণ

দুই শতাধিক বছর পূর্বে এ অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা। এ অঞ্চলের উর্বর ভূমি নীল চাষের অনুকূল হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় নীলফামারীতে বেশি সংখ্যায় নীলকুঠি ও নীল খামার গড়ে ওঠে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই দুরাকুটি, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ উপজেলা, টেঙ্গনমারী প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়।

সে সময় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মধ্যে নীলফামারীতেই বেশি পরিমাণে শস্য উৎপাদিত হতো এখানকার উর্বর মাটির গুণে। সে কারণেই নীলকরদের ব্যাপক আগমন ঘটে এতদঅঞ্চলে। গড়ে ওঠে অসংখ্য নীল খামার। বর্তমান নীলফামারী শহরের তিন কিলোমিটার উত্তরে পুরাতন রেল স্টেশনের কাছেই ছিল একটি বড় নীলকুঠি। তাছাড়া বর্তমানে অফিসার্স ক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত পুরাতন বাড়িটি ছিল একটি নীলকুঠি।ধারণা করা হয়, স্থানীয় কৃষকদের মুখে ‘নীল খামার’ রূপান্তরিত হয় ‘নীল খামারী’তে। আর এই নীলখামারীর অপভ্রংশ হিসেবে উদ্ভব হয় নীলফামারী নামের।

অবস্থান ও আয়তন

রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় ৪০০ কিঃমিঃ দুরে ১৫৮০.৮৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট নীলফামারী জেলার অবস্থান, যা কর্কটক্রান্তি রেখার সামান্য উত্তরে, ২৫°৪৪´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৬°১৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪৪´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৯°১২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এ জেলার  এবং উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে রংপুর জেলা, পূর্বে রংপুর জেলালালমনিরহাট জেলা, পশ্চিমে দিনাজপুর জেলাপঞ্চগড় জেলা

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি

 নীলফামারী-০১
 নীলফামারী-০২  নীলফামারী-০৩  নীলফামারী-০৪

স্থানীয় সরকার

১৮৭৫ সালে মহকুমা ও পরে ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত হয়।[২] 

পৌরসভা

এই জেলায় মোট ৪ টি পৌরসভা

উপজেলা পরিষদ

মোট ৬ টি উপজেলা নিয়ে নীলফামারী জেলা।

  1. নীলফামারী সদর উপজেলা
  2. ডোমার উপজেলা
  3. ডিমলা উপজেলা
  4. জলঢাকা উপজেলা
  5. কিশোরগঞ্জ উপজেলা
  6. সৈয়দপুর উপজেলা

ইউনিয়ন পরিষদ

নীলফামারী জেলায় মোট ৬০ টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।

শিক্ষা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

খিলালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ

• মীরগঞ্জ হাট বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়

আবহাওয়া


নীলফামারী-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য

অর্থনীতি

নীলফামারী মূলত একটি কৃষি নির্ভর জেলা। জেলার অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল ভুট্টা, ও মরিচ। জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদীর অববাহিকায় প্রচুর ভুট্টার চাষ হয়। ডোমার, ডিমলায় মরিচের চাষ হয়। এছাড়া আলু, ধান, গম, সরিষা, পাট, তামাক প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়।[৪]

চিত্তাকর্ষক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান

তিস্তা ব্যারেজ